রত্ন মালাদির দ্বারা ভাগ্য ফেরানঃ
সিকিমের ও হেমিসের তান্ত্রিক বৌদ্ধদের গুস্ফায় দেখেছি নানারকম পাথরের মালা জপ্ করতে। শুধু তারা কেন, হিন্দু তান্ত্রিক, বৈষ্ণব, শৈব, মুসলমান ফকীর এবং রোমান ক্যাথলিক খ্রীস্টানরাও মালা জপ্ করেন। আমি আগেই বলেছি ঈশ্বরকে লাভ করতে গেলে সর্বাগ্রে গ্রহদোষকে কাটাতে হবে। কারণ গ্রহদোষ থাকলে ঈশ্বরের আর্শীবাদ পাওয়া দুরুহ হয়ে ওঠে। গ্রহদোষ কাটাবার জন্য নানরকম প্রক্রিয়া আছে।তার মধ্যে মালা ব্যবহার ও মালা জপ্ অন্যতম। মুক্তার মালা সম্পর্কে আমি আগেই বলেছি। আদি থেকে অনেকে স্ফটিক মালা ব্যবহার করেন। এবং এই বিষয় আমি উপদেশ লাভ করি নেপালে একজন তান্ত্রিক যোগীর নিকট। তিনি আমাকে বলেন-
“পদ্মবীজাদিভির্মালা বহির্যাগে শৃণুষ্ব তাঃ।
রুদ্রাক্ষ-শঙ্খ-পদ্মাক্ষ-জীবপ্রত্রক-মৌক্তিকৈঃ।।
স্ফটিকৈর্মণিরত্নৈশ্চ সৌবর্ণৈর্বিদ্রুমৈস্তথা।
রাজতৈঃ কুশমূলৈশ্চ গৃহস্থস্যাক্ষমালিকা।।”
তুমি মনে রাখবে- “পদ্মবীজের মালা সবচেয়ে প্রশস্ত। রুদ্রাক্ষ, শঙ্খ, পদ্মবীজ, জীবপুত্রিকা, মুক্তা, স্ফটিক, মণি, রত্ন সুবর্ণ, প্রবাল, রৌপ্য এবং কুশমূল গ্রহীদের পক্ষে শ্রেষ্ঠ জপ্ মালা।