নূর নবী হযরত মোহাম্মদে মোস্তফা আহম্মদে মোস্তফা রাসূল (সাঃ) এর জিয়ারত লাভের আমলঃ
আমাদের সাথে রয়েছেন বিখ্যাত আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব্য আলহাজ্জ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ সামস জিদান লাহোর। আপনারা যেনারা আধ্যাত্মিক উন্নতী কল্পে ক্বলবের বিচ্ছিরনে স্বিয় সত্বাকে স্রষ্টার সাথে একিভুত করতে চাইছেন, রুহানী জগতে পদচারনা করতে ইচ্ছে পোষন করছেন, তেনাদের সাহাযার্থে আজ এখানে উচ্চমার্গিয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। অবশ্যই আপনি আমাদের নিকট হতে কিংবা আপনার নিজ এলাকায় কোন আধ্যাত্মিক গরু, মুফতি, মুফাচ্ছের, ইলমে দিনে জিনি পন্ডিত দাগহীন আলেম তেনার নিকট এজাজত পরিপূর্ণ বিধান জেনেই এই সাধনায় অগ্রসর হবেন।
আজকের সাধনা কোন অর্থ প্রাপ্তি, নারী সঙ্গ, সন্মান প্রাপ্তির জন্য নয়, আজকের সাধনা কোন লোভের বসে কৃত সাধনা নয়, স্রষ্টার সাথে সাক্ষাতের জন্য সাধনা বা স্রষ্টার সাথে সাক্ষাতের জন্য তার নিকট প্রার্থনা করা।
আধ্যাত্মিকতার জন্য এটি প্রথম ধাপ নয় তবে আপনি যদি আপনার আধ্যাত্মিকতার সুচনা লগ্নেই এই তদবীর দ্বারা ফল লাভ করতে পারেন তবে অবশ্যই বিষয়টি হবে অচিন্তনীয় সুফল দায়ক।
এরজন্য অবশ্যই আপনাকে শরিয়তের যে মুল বিষয়গুলো রয়েছে তার পরিপূর্ণ পালন করতে হবে। নামাজ রোজা হজ্জ জাকাত ইত্যাদি সেই সাথে দরিদ্রদের জন্য উদার মনা হওয়াও জরুরী।
প্রাচীন মিশরীয় আধ্যাত্মিক মারুফতি কিতাবগুলোতে এই তদবীরটি বেশ পরিচিত। আমরা হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে স্বপ্নে জেয়ারত লাভের জন্য বিভিন্ন ধরনের আমল করে থাকি, বিভিন্ন বই কিতাবে এ বিষয় বিস্তর লেখা দেখতে পাওয়া যায়, বিভিন্ন মাওলানা, মুফতি সাহেবেরা তেনাদের নিজেস্ব নিয়ম পদ্ধতী প্রদান করে থাকে, এবং সেই পদ্ধতী কাহারো কাহারো সহজ হলেও অনেকের পদ্ধতী বেশ জটিল, ব্যক্তিগত ভাবে যতটুকু যেনেছি সে সকল তদবীর আমল করে অনেকেই ফল হয়তো পায় কিন্তু অধিকাংশ ব্যক্তিকেই নিরাশ হতে দেখা গেছে আজ আমরা যে আমলটি দিলাম এটিতে আপনি অবশ্যই ফল পাবেন এবং এর চাইতে সহজতর নিয়ম জগৎ সংসারে অন্য কোন শাস্ত্রে খুজে পাবেন না বলেই আমাদের বিশ্বাষ।
দোওয়াঃ আল হামদু লিল্লাহিল্লাযী ফিস সামায়ি আরশিহী, আল হামদু লিল্লাহিল্লাযী ফিল আরদি কুদরাতিহী। আল হামদু লিল্লাহিল্লাযী ফিল যান্নাতি রুইয়াতিহী, আল হামদু লিল্লাহিল্লাযী ফিল কুবুরী কাযাইহি, আল হামদু লিল্লাহিল্লাযী ফিল বাররি সুলতানিহী, আল হামদু লিল্লাহিল্লাযী লা মানযা আ ওয়ালা মানজা আ মিনাল্লাহী ইল্লা ইলাইহী। লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম, ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা খায়রি খালক্বিহী মুহাম্মাদিঁও ওয়া আলিহী ওয়া আসহা বিহী আজমাঈন। বি রাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন, আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুসিবাতী ওয়াখ লুফনী খাইরাম মিনহা।
নিয়মঃ যে কোন চন্দ্রমাসের প্রথম দিকেই শুরু করবেন যদি বৃহষ্পতিবার হতে শুরু করতে পারেন তবেই অধিকতর ভালো হয়। আপনাকে অবশ্যই স্বাভাবিক ধর্মিয় রিতিনিতি যথাযথ ভাবেই চালিয়ে যেতে হবে। এবার এশার নামাজ ও বেতর নামাজ আদায় করার পর, নিজের ঘরটিকে সুগন্ধিময় করে পবিত্র বিছানায় পবিত্র পোষাক পড়ে শুয়ে পরবেন, এবং শুয়ে উপরক্ত দোওয়াটি ১৫ বার তেলাওয়াত করতে হবে। তবে তার পূর্বে দরুদে ইব্রাহিম ১০ বার পড়ে নিতে হবে এবার এই দোওয়া জপ শেষ করে ঘুমানোর পূর্ব পর্যন্ত দরুদ পাঠ সেই সাথে নুর নবী হযরত মোহাম্মদে মোস্তফ আহম্মদে মোস্তফা ( সাঃ) এর প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসা দরদ ও তার সাথে সাক্ষাতের মনো বাসনা নিয়ে ঘুমাতে হবে। ইনশা আল্লাহ প্রথম দিনেই কিংবা পরপর তিন থেকে সাতদিন নিয়ম মত করলেই আপনি দোজাহানের সর্দার আপনার আমার নাজাতের কান্ডারীর জেয়ারত নসিব হবেই। আজ এ পর্যন্তই।
আধ্যাত্মিক সেবার সকল আলোচনা গুলো পড়ুন…